শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন লালমনিরহাটে তামাকের বিষে কমছে জমির ঊর্বরতা; বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি লালমনিরহাটে জেন্ডার-সংবেদনশীল দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসকরণ ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিযোজন বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে আত্মনির্ভরশীল দল এবং ইউডিএমসি এর মধ্যে অ্যাডভোকেসি এবং লবিং মিটিং অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পাটগ্রামে শহীদ জিয়া স্মৃতি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্ট অনুষ্ঠিত গণতন্ত্র আমাদের হাতের নাগালে নাই-লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় লালমনিরহাটে বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ও ঔষধ সেবা অর্ধেক মূল্যে হত দরিদ্রদের ছানি অপারেশন অরবিট চক্ষু হাসপাতালে লালমনিরহাটে শীতের হরেক রকমের পিঠার দোকানের পসরা নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা
খুব দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিন কুলাঘাটের ঝুঁকিপূর্ণ স্ট্রীল ব্রীজ

খুব দ্রুত মেরামতের উদ্যোগ নিন কুলাঘাটের ঝুঁকিপূর্ণ স্ট্রীল ব্রীজ

মোঃ মাসুদ রানা রাশেদ, লালমনিরহাট:

 

লালমনিরহাট জেলার লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের কুলাঘাট- ফুলবাড়ী সড়কে চরকুলাঘাট এলাকায় রত্নাই নদীর ওপর থাকা স্ট্রীল ব্রীজটি যে দ্রুত সংস্কার করা দরকার, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কবে বুঝবে? স্ট্রীল ব্রীজের স্ট্রীলের পাটাতনের কয়েকটি জায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়ে বছরের পর বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। অথচ তা মেরামতের কোনো উদ্যোগই নেই।

রত্নাই নদীর উপর স্ট্রীল ব্রীজ নির্মাণ করা হয় অনেক দিন আগে। নির্মাণের পর কয়েক বার সংস্কার করা হয়। কিন্তু সংস্কারের কিছুদিন যেতে না যেতেই ব্রীজে গর্তের সৃষ্টি হয়। তখন গর্ত মেরামত করা হয়। এরপর আরও কয়েক বার গর্ত মেরামত করেন। প্রায় ২বছর আগে “শেখ হাসিনা ধরলা সেতু” জনগণের জন্য খুলে দেয়া হয়। এতে করে লালমনিরহাট- ফুলবাড়ী- নাগেশ্বরী- ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মানুষ ও যানবাহন যাতায়াত বেড়ে যায়। এখন পুনঃরায় গর্ত সৃষ্টি হলেও এখন তা মেরামত করতে কেউই এগিয়ে আসছে না। অথচ প্রতিদিন এই ব্রীজের ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে হালকা ও ভারী সহস্রাধিক যানবাহন চলাচল করছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

অবশ্য শুধু এই ব্রীজই নয়, দেশের আরও বহু স্থানে বহু ব্রীজ এ রকম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দিনের পর দিন সংস্কার হচ্ছে না। বড় বড় অনেক প্রকল্প হচ্ছে, অনেক অর্থ খরচ হচ্ছে। সেগুলোর প্রয়োজন নিশ্চয়ই আছে। কিন্তু মানুষের প্রাত্যহিক চলাচল ও জীবন- জীবিকার সঙ্গে সম্পর্কিত যে উন্নয়ন কার্যক্রম, তা কী করে উপেক্ষিত থাকে! এই যে ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে এবং যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটে, তবে এর দায় কে নেবে?

শুধু ব্রীজ নির্মাণ করলেই হবে না, এর রক্ষণাবেক্ষণ ও নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে নতুন করে তৈরির বিষয়টিও উন্নয়ন প্রক্রিয়ার অংশ। নিয়মিত সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দেশের বহু ব্রীজের আয়ুষ্কাল যেমন কমছে, তেমনি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। ঝুঁকিপূর্ণ ব্রীজের ওপর ‘ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ’ বা ‘ভারী যান চলাচল নিষেধ’, এমন সাইনবোর্ড ঝুলিয়েই অনেক সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ মনে করে তাদের দায়িত্ব শেষ। এখানে জবাবদিহির বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি।

নিয়ম অনুযায়ী, ১ হাজার ৫০০মিটার বা ততোধিক দৈর্ঘ্যের ব্রীজের দায়িত্ব বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের। এর চেয়ে কম দৈর্ঘ্যের ব্রীজ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব সড়ক ও জনপথ বিভাগ বা সওজের। আর গ্রাম এলাকার রাস্তা তৈরি এবং গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণ ও মেরামতের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি)। এসব কর্তৃপক্ষকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ও সেতুগুলোর ওপর তদারকি ও নজরদারি জোরদার করতে হবে।

আমরা আশা করব, স্ট্রীল ব্রীজসহ দেশের সব ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো খুব দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।

উল্লেখ্য যে, উক্ত রোডে “সাবধান ক্ষতিগ্রস্ত সেতু ৫টনের অধিক যানবাহন চলাচল নিষেধ। আদেশক্রমে- নির্বাহী প্রকৌশলী, সওজ, লালমনিরহাট” লেখা সাইন বোর্ড ঝুলে দিয়ে দায় এরিয়েছেন সওজ।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone